
৳ ২২০ ৳ ১৬৫
|
২৫% ছাড়
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER





এক্সপেরিমেন্টের বিষয়বস্তু ছিল- সোশাল মিডিয়ায় নিয়মিত লিখলে কী হয় এবং পাঠক আসলে পড়েন কিনা, তাদের মান কেমন! আমাদের সব মহলে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে সোশাল মিডিয়ার পাঠকরা আসলে সিরিয়াস পাঠক নন। তারা শুধু লাইক দিয়েই খালাস। নিজের লেখার এক্সপেরিমেন্ট থেকে বুঝলাম, ব্যাপারটা মোটেও সত্য নয়। একটু ভিন্ন ফর্মে প্রায় ৪০টা গল্প টানা লিখলাম, প্রায় প্রত্যেকদিন। বিস্ময়করভাবে আমার ফেইসবুকের বন্ধু সংখ্যা গল্পগুলো আপ করার সময়ে জ্যামিতিক হারে বাড়তে শুরু করলো । এ বইয়ে ছাপা হওয়া দুয়েকটি ছাড়া প্রায় সবকটি গল্পই রাত জেগে চিৎ হয়ে শুয়ে মোবাইলে টাইপ করে ফেইসবুকে আপ করেছি। কখনো কখনো লং জার্নিতে বাসে বসেও লিখেছি। গল্পগুলো অনলাইনে দেয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই কমেন্ট পেতে থাকি। কমেন্টগুলো দেখলেই বুঝতে পারি, পাঠকরা পড়ছেন এবং বুঝছেন। এমনকি ভুল থাকলে ওয়ালে বা ইনবক্স করে ধরিয়ে দিচ্ছেন। গল্প লেখাকালীন দুইমাসে আমার সাথে প্রায় ২ হাজার ব্যক্তি ফেইসবুকে সংযুক্ত হোন বন্ধু হিসেবে। কেবল গল্প বলে এতো বন্ধু জোগাড় হয়! অনলাইন পাঠক নিয়ে তাই আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। তাদের উৎসাহেই চিন্তা করি সংকলন বের করবো। কেননা, অনেকেই বলেছেন, কাজের ফাঁকে অনেকসময় ফেইসবুকে ঢোকা হয় না, বা ব্যস্ততার জন্য ধারাবাহিকভাবে গল্প পড়তে পারেন না। অনলাইন মিডিয়ার কারণে লেখার ধরন বদলেছে। গল্প বলার ধরন পরিবর্তন হয়েছে। তবু তো গল্পগুলো গল্পই রয়ে গেছে। চেষ্টা করেছি- অনলাইন মিডিয়ার ভাষা ও পাঠকের মন ধরতে। ফিল্ম ও টিভি নাটকের স্ক্রিপ্ট এবং বিজ্ঞাপনের কপি লেখার অভিজ্ঞতা গল্পগুলো লেখার সময় নতুন মাত্রা দিয়েছে। কিছু কাছের মানুষ কট্টর সমালোচক হিসেবে ছিলেন। তাদের কারণেও গল্পগুলো একটা মানে দাঁড়িয়েছে বলেই বিশ্বাস।
Title | : | মৃত্যু ও মিডিয়া এক্সপোজার |
Author | : | তন্ময় ইমরান |
Publisher | : | আদর্শ |
ISBN | : | 9789849266334 |
Edition | : | 2018 |
Number of Pages | : | 128 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
তন্ময় ইমরান জন্ম ১৯৮৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার শান্তিনগরের ফরিদা ক্লিনিকে। বাবা মুহাম্মদ আলী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী ছিলেন এবং মা আইরিন পারভীন গৃহিনী। নানার বাড়িতে বড় হয়েছেন।
বন্ধুরা জনি নামেই ডাকে। কেতাবি নাম- হাবিব ইমরান। তবে তন্ময় ইমরান নামে সোশাল মিডিয়ায় পরিচিত। তন্ময় নামে দাদাবাড়ির লোকজন ডাকে। সে কারণে এটি বেছে নেওয়া।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিবিএ ও এমবিএ।
ছোটবেলা থেকে লেখালেখির অভ্যাস। ‘দৈনিক আমাদের সময়’ দিয়ে পত্রিকায় চাকরি শুরু। এরপর দৈনিক যায়যায়দিন, কালের কণ্ঠ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন ও একাত্তর টিভি হয়ে এখন সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে কাজ করেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রবাস পাতার সম্পাদক। এর পাশাপাশি একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার স্ট্রাটেজিক প্লানিং বিভাগের ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন কিছুদিন।
ছাত্রজীবনে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘দিয়াশলাই’ নামের একটি ছোটকাগজ বের করার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একাধিক গল্প নিয়ে টিভি নাটক হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- শহুরে সব গঙ্গা ফড়িং আর বুড়োঘোড়া।
‘মনফড়িং’ নামে একটি চিত্রনাট্য লিখেছেন, যা ২০১৭ সালে ইংরেজিতে দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকার সেরা ফিকশন ফিল্ম ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। দেশে-বিদেশে বেশ কয়েকটি পুরস্কার পাওয়া ‘মনফড়িং’ বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমি আয়োজিত জাতীয় শিশু চলচ্চিত্র উৎসবেও সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে।
‘মৃত্যু ও মিডিয়া এক্সপোজার’ তার প্রথম বই।
If you found any incorrect information please report us